সিলেটে হোটেলে হামলা ও লুটপাটের ঘটনায় মামলা
- আপলোড সময় : ০৯-০৪-২০২৫ ০৬:১৯:১৮ পূর্বাহ্ন
- আপডেট সময় : ০৯-০৪-২০২৫ ০৬:১৯:১৮ পূর্বাহ্ন

সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
ফিলিস্তিনে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বর হামলার প্রতিবাদে সোমবার উত্তাল ছিল পুরো সিলেট। এ সময় বিক্ষুব্ধ জনতার মিছিল থেকে রয়েলমার্ক হোটেল, কেএফসি, ইউনিমার্ট, বাটা, ডমিনোজ পিৎজাসহ বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের শোরুমে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়। এবার এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
জানা গেছে, নগরীর মীরবক্সটুলা এলাকার রয়েলমার্ক হোটেল ভাঙচুর ও নগদ ১ লাখ ৮০ হাজার লুটপাটের ঘটনায় হোটেলের ম্যানেজার (অপারেশন) আব্দুল মতিন সরকার বাদী হয়ে মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) কোতোয়ালি থানায় অজ্ঞাতনামা ৩০-৪০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। রয়েলমার্ক হোটেলের দ্বিতীয় তলায় ছিল কেএফসি। মামলার এজহারে তিনি কেএফসিতে হামলা ও ভাঙচুরের বিষয়টি উল্লেখ করেন। এ ছাড়া তিনি হোটেলের ২০-২৫ লাখ টাকার মালামাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে এজহারে উল্লেখ করেন।
মহানগর পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার (উত্তর) মো. শাহরিয়ার আলম বলেন, হামলা ও লুটপাটে জড়িতদের মধ্যে সোমবার (৭ এপ্রিল) রাত থেকে মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) বিকাল পর্যন্ত ১৭ জনকে আটক করা হয়েছে। লুটপাটকারীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে বিভিন্ন এলাকায় আমাদের টহল ও অভিযান অব্যাহত রয়েছে। পাশাপাশি অনলাইনে নজরদারিও চলছে।
আটকরা হলেন- সিলেট নগরীর কাজীটুলা এলাকার মো. রাজা মিয়ার ছেলে মো. রাজন (১৯), একই এলাকার আরব আলীর ছেলে ইমন (১৯), দ্বীন ইসলামের ছেলে মো. রাকিব (১৯), সাদ আহমদের ছেলে মিজান আহমদ (৩০), সওদাগরটুলা এলাকার মৃত আবুল বাশার মিয়ার ছেলে মো. আব্দুল মোতালেব (৩৫), গোয়াইটুলা এলাকার লিয়াকত আলীর ছেলে সাব্বির আহমদ (১৯), কো¤পানীগঞ্জের ফরিদ মিয়ার ছেলে জুনাইদ আহমদ (১৯), মিরের ময়দান এলাকার মৃত মোস্তফা মিয়ার ছেলে মো. রবিন মিয়া (২০), শাহী ঈদগাহ এলাকার মো. মহছন আহমদের ছেলে মোস্তাকিন আহমদ তুহিন (১৯), দরগাহ গেট এলাকার আব্দুল ছাত্তারের ছেলে মো. দেলোয়ার হোসেন (৩০), শেখঘাট এলাকার শামীম আহমদের ছেলে মো. রিয়াদ (২৪), বালুচর নতুন বাজার এলাকার দুলাল মিয়ার ছেলে মো. তুহিন (২৪), বটেশ্বর বাজারের সেলিম রেজার ছেলে আল নাফিউ (১৯), নোয়াখালীর চাদমিল থানার পশ্চিম নাহার কিল গ্রামের সৈয়দ আলতাফ মানিকের ছেলে সৈয়দ আল আমিন তুষার (২৯), বিয়ানীবাজার উপজেলার গোবিন্দশ্রী গ্রামের মৃত ইউসুফ আলীর ছেলে মো. সোহেল খান (৪২), সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার সিদ্দরপাশা গ্রামের শাহ নূর মিয়ার ছেলে সুমন মিয়া রুপন (৩৫) ও বিশ্বনাথ উপজেলার জানাইয়া গ্রামের মৃত নন্দন মালাকারের ছেলে অরুণ মালাকার (৩৫)।
সিলেট কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউল হক গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, হোটেল রয়েলমার্কের দ্বিতীয় তলায় ছিলে কেএফসি। বিক্ষুব্ধ জনতা কেএফসিতে হামলার পরপরই হোটেলে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। এ ঘটনায় হোটেল ম্যানেজার বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করার পরপরই হামলার সঙ্গে জড়িতদের ধরতে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ